মোহাম্মদ কামরুল কায়েস এক নিরব মানবতার ফেরিওয়ালা

অসহায়দের আস্থার ঠিকানা

by The Justice Bangla

মোহাম্মদ সামিরঃ মোহাম্মদ কামরুল কায়েস – এক আলোকিত নাম, যিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মানবকল্যাণে। তাঁর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে ওঠে মানুষের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা, নিঃস্বার্থ সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের দীপ্ত প্রতিশ্রুতি।

তিনি শুধু একজন সফল উদ্যোক্তা পেশাজীবী বা সমাজসেবক নন, বরং একজন মানবতাবাদী যিনি মানুষের দুঃখে নিজেকে বিলিয়ে দিতে জানেন। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য। সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন মানবতা এখনও জীবিত।

 

এসব কর্মকাণ্ডে তাঁর সরব অংশগ্রহণ তাঁকে শুধু একজন সমাজসেবক নয়, এক মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বিশ্বাস করেন, সেবা মানেই ইবাদত। আর সেই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে, নিঃস্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

মোহাম্মদ কামরুল কায়েস আমাদের সমাজের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর যাঁর আলোয় অনুপ্রাণিত হয় হাজারো হৃদয়, যাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সৃষ্টি হতে পারে আরো অনেক মানবতার ফেরিওয়ালা বা উদ‍্যোক্তা।

মোহাম্মদ কামরুল কায়েস একটি নাম, একটি আদর্শ, এক নিরলস যোদ্ধা মোহাম্মদ কামরুল কায়েস। যিনি শুধু নিজের জন্য নয়, সবার জন্য বাঁচেন। যাঁর জীবনের মূল মন্ত্রই হলো “সেবা মানবতার জন্য, কাজ কল্যাণের জন্য।” তিনি মানবতার এমন এক ফেরিওয়ালা, যিনি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে।

জীবনের সূচনা ও শিক্ষাজীবনে মোহাম্মদ কামরুল কায়েস তিনি এক জন পরহেজগার, মূল্যবোধনির্ভর ও শিক্ষিত পরিবারে। শৈশব থেকেই তাঁর মাঝে দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও নেতৃত্বের ছাপ ছিল স্পষ্ট। শিক্ষা জীবনে তিনি ছিলেন মেধাবী, আদর্শবান ও সহযোগিতাপরায়ণ। বিদ্যালয় ও কলেজে পড়াকালীন সময়েই তিনি নানা সামাজিক ও ছাত্রকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে নিজের ভিন্নতাকে প্রমাণ করেছিলেন।

সেবামূলক পথচলার শুরু পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কামরুল কায়েস অনুভব করেন যে, সমাজের সকল মানুষ সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। এই উপলব্ধিই তাঁকে ধাবিত করে সেবামূলক কর্মকাণ্ডের দিকে। সেখান থেকেই তিনি যুক্ত হন মানবসেবামূলক সংগঠন গুলোতে ধীরে ধীরে তাঁর নেতৃত্ব ও কর্মকাণ্ড তাঁকে পরিণত করে একজন দৃঢ় মানবসেবকে।

তিনি বিশ্বাস করেন, শুধু দান নয় সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, সম্মান ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত সেবা।

মোহাম্মদ কামরুল কায়েস নিজের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অসংখ্য সেবামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁর উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে:

অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবা অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য চক্ষু শিবির ও বিনামূল্যে চশমা বিতরণ

দরিদ্রদের জন্য রক্তদান ও মেডিকেল ক্যাম্প

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বই, খাতা, পোশাক ও খাবার বিতরণ  প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি

প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের জন্য সুবিধা নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি

অসহায় মানুষের এক আস্থার ঠিকানা হিসেবে কাজ করছে।

ব্যক্তিত্বে রয়েছে দৃঢ়তা, কোমলতা ও আস্থার অনন্য মিশেল। তিনি কখনো কাউকে “সাহায্য করছেন” এই দৃষ্টিতে দেখেন না বরং তাঁর মতে, তিনি “মানুষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন। এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে আলাদা করে তোলে।

তাঁর চলনে, বলনে, ব্যবহার ও নেতৃত্বে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একজন আদর্শ ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি যিনি আত্মপ্রচার নয়, আত্মত্যাগে বিশ্বাস করেন।

সম্নননা ও স্বীকৃতি তাঁর নিরলস কাজের জন্য তিনি দেশ-বিদেশে নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-অসরকারি ফোরাম থেকে পেয়েছেন প্রশংসাপত্র, ক্রেস্ট ও গৌরবময় স্বীকৃতি। কিন্তু তাঁর ভাষায়

সবচেয়ে বড় পুরস্কার, যখন একটি মানুষ আমাকে বলে ভাই, আপনি পাশে ছিলেন বলেই আজ আমি বেঁচে আছি।

উপসংহার মোহাম্মদ কামরুল কায়েস শুধুই একজন সেবক নন, তিনি একজন প্রেরণা। আজকের সমাজে যখন মানবতা হারিয়ে যেতে বসেছে, তখন তিনি যেন এক আলোকবর্তিকা— যাঁর আলোয় পথ খুঁজে পায় অসংখ্য দিশাহারা মানুষ। তাঁর পথচলা আমাদের শেখায় সেবা কোনো প্রচার নয়, বরং একান্ত অন্তরের আর্তি।

আমরা কৃতজ্ঞ যে, এমন একজন মানুষের সাহচর্য ও নেতৃত্ব আমাদের মাঝে রয়েছে। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি, যেন তিনি ভবিষ্যতেও এই সমাজ, এই জাতি ও বিশ্বমানবতার জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে জ্বলে উঠতে পারেন।

মোহাম্মদ কামরুল কায়েস আপনি সত্যিই নিরব ফেরিওয়ালা

You may also like

Leave a Comment